The heart of a young man with a fresh | তরতাজা সুঠাম দেহের একজন যুবকেরহৃদপিণ্ড টেনে বের করা হয়েছে।
তরতাজা সুঠাম দেহের একজন যুবকেরহৃদপিণ্ড টেনে বের করা হয়েছে। তারপর তা পিরামিডের বেদিতে আছরাতে আছরাতে মন্ত্র পড়ছে পুরোহিত। দেবতা টোনাটিয়ুর উদ্দেশ্যে বলি করা হয়েছে তাকে।
জীবন্ত যুবকটাকে পাথরের বেদিতে শুইয়ে পাথরের বিশেষ পাতলা ছোরা দিয়ে বুকটা ফেরে ফেলা হয়েছে। তারপর টেনে বের করা হয়েছে হৃদপিণ্ড। page
প্রচন্ড যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিৎকার করছে যুবক। যে একসময় বিরোধী পক্ষের যোদ্ধা ছিল।
প্রধান পুরোহিত সহ মোট চারজন পুরোহিত প্রতিদিন এরকম একটি তাজা প্রাণের বলি দিয়ে দিন শুরু করে।
হৃদপিণ্ড আছড়ে দেবতার উদ্দেশ্য পিরামিডের চূড়ায় উৎসর্গ করার পর এবার যুবকের মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলো।
মাথাটি বিশেষ স্থানে সংরক্ষিত রাখা হবে। তবে শরীরটা হবে ভোজের উপকরণ। পিরামিডের বেদি থেকে যুবকের হৃদপিণ্ড ও মাথাকাটা শরীরটা গড়িয়ে ফেলা হলো নিচে। সেখানে অ্যাজটেক সম্প্রদায়ের প্রচুর লোকেরা অপেক্ষায় দাড়িয়ে ছিল,
তারা বলি দেয়া যুবকের শরীরটা তুলে নিয়ে হাত পা সহ সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আলাদা আলাদা করে কেটে নেয়। উড়ু ও নিতম্বের কিছু নরম গোস্ত রাজ পরিবারের জন্য রেখে শরীরের বাকি অংশটা সবাই ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। যা আজ রান্না হবে। আর রাজ পরিবারে নিতম্বের গোস্ত দিয়ে তৈরি হবে বিশেষ স্যুপ।
প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত একজন মানুষের হৃদপিণ্ড উৎসর্গ করতে হয় দেবতার উদ্দেশ্যে। অ্যাজটেক সভ্যতার এই নিয়ম চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
মেক্সিকোর বাসিন্দা অ্যাজটেক সভ্যতার প্রতিটা মানুষ বিশ্বাস করে আজ যদি কোন যুদ্ধবন্দি যুবকের মাথা কাটা না হয়, যদি তার হৃদপিণ্ড সূর্য দেবতা টোনাটিয়ুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা না হয়, তবে সূর্য উঠবে না। ফসল ফলবে না। চরম দুর্ভিক্ষের সূচনা হবে।
কেবল যুবক নয়, "এই সভ্যতায় এমন আরো কিছু দেবতা আছে, যাদের খুশি রাখতে নিয়ম করে কুমারি নারীদেরকেও বলি করতে হয়"। চাঁদের বিশেষ আলোতে, যখন পুর্নিমার জোয়ার থাকে, তখন কূপের ধারে কুমারি মেয়েকে বিবস্ত্র করে বিশেষ পদ্ধতিতে বলি দেয়া হয়।
কিছু কিছু আসন্ন বিপদ কাটাতে শিশুদেরকেও বলি দিতে হয় অ্যাজটেক সভ্যতার নিয়ম অনুসারে। যার নারী, শিশু, যুবক সহ একটি বিশেষ দিনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার মানুষকে বলি দিয়ে তাদের হৃদপিণ্ড উৎসর্গ করা হয়েছিল দেবতার উদ্দেশ্যে। একসাথে একো মানুষের বলু দেয়ার ঘটনা অ্যাজটেক সভ্যতা ছাড়া আর কোন সভ্যতায় সম্ভবত নেই।
সেইসব বলি দেয়ার বিশদ বর্ণনা এতোটাই নৃসংশ আর বীভৎসতায় ভরা যে, সুস্থ মানুষের চিন্তায়ও আসবে না।
তাই যাদের হার্ট দুর্বল, তাদের জন্য এই বই না পড়াই ভালো।
কিন্তু যারা স্লাশার গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য মাস্ট রিড "নরবলি" বইটি।
আজ থেকে প্রায় সাতশ বছর আগের সমৃদ্ধ এক জাতি অ্যাজটেকটা তাদের দেবতা বা ধর্ম ভীরুতার জন্য মানুষ বলি দেয়াটাকে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেই শৈল্পিক বলির ঘটনা ছাড়াও ইতিহাসের নানা অজানা অধ্যায় যুক্ত করে মিথ ও বাস্তবতার মিশেলে লেখা হয়েছে বইটি। যা একবার পাঠ শুরু করলে শেষ না করে আর রাখা যায় না। থ্রিলার, রহস্য, রোমান্স কী নেই এতে,
দুর্দান্ত গল্পের প্লট ও নরবলির আধিভৌতিক বর্ননায় লেখা অসাধারণ এই বইটির নাম - অ্যাজটেক সভ্যতায় নরবলি।
কেবল বলি দেয়ার বর্ণনা নয, প্রাচীন রাজ পরিবারের হিংস্রতা, অন্ধ ধর্মবিশ্বাস, কালোজাদু, বাস্তবতা, ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ বিদ্রোহ, ইতিহাস সব আছে এই বইতে। আছে
More related topics
How to recognize a failed society |

Comments
Post a Comment