Skip to main content

Most women don't live bangla ebooks

 একটা সময়ের পর, অধিকাংশ নারী স্বামীর সাথে সংসার করে না। স্বামীর ঘরে সংসার করে | After a while, most women don't live with their husbands. They live in their husbands' homes.




English covert scroll 👇









কথাটা শুনে হাসি এলেও এইটা কি পরিমাণ সত্য আর নিত্য তা আমরা নিজেরাও জানি না। খুব বেশি নিত্যতায় মিশে আছে বলে আলাদা করে চোখেও পড়ে না৷ 


উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা নিম্মবিত্ত, সদ্য বিবাহিত, মধ্যবয়স্ক বা শেষ বয়স ব্যাপার না। এইটা ছড়িয়ে আছে সব খানে। 


সংসার টা একটা সময়ের পর সেই নারীর হয়ে যায়, যে নড়বড়ে কাপাঁ পায়ে আসে সে ঘরে।  

জা, দেবর, ননদ, শ্বশুর, শাশুড়ী, আত্মীয়, সন্তান সবার সাথে মাখামাখি সর্ম্পক থাকলেও থাকে না সে একটা মানুষের সাথে। 

অমুকের বউ, তমুকের বউ হয়েই রয়ে যায় শুধু। 

এই নামটার সাথেই পার হয়ে যায় গোটা একটা জীবন। গোটা একটা শতাব্দীর সংসার। 

 

দায়িত্ব সমানে পালন করে দুজনেই। 

কিন্তু নেই কারো কোন টানে আর অস্তিত্ব থাকে না অনুভূতি তে। পুরো দিনে প্রয়োজন ছাড়া, অপ্রয়োজনে তাদের কথা বলতে দেখা যায় না। দেখা যায় না পাশে বসে নতুন পুরানো কথা বলতে। তাদের আলাদা কোন কথা থাকে না। আলাদা কোন সময় থাকে না। কেউ কারো প্রশংসা করে না। তাকানো হয় না। যেন এমনটায় তো স্বাভাবিক। 





অনেকের তো বিছানা আলাদা হয়ে যায় অনেক বছর। 


আমাদের দাদু -ঠাকুমা, কাকা-কাকী, মামা-মামী, হয়ত মা-বাবাও, এমন অনেকেই দেখি আমরা। জানি। তবে এই নিয়ে আলাদা কোন চিন্তা ভাবনা নেই কারো সময় নেই ভাবার। আলাদা কোন অনুভূতি ও হওয়ার কথা মাথায় আসে সে নারী বা পুরুষ টার জন্য।

অনেকের জন্য কেমন যেন স্বস্তির ব্যাপার হয়ে যায় এইটা।

সন্তানদের আলাদা কোন অভিব্যক্তি থাকে না এই নিয়ে। যেন চিরচায়িত স্বাভাবিক সর্ম্পক মা বাবার এইটা৷ 


একটা সময়ের পর অধিকাংশ নারী স্বামীর সাথে সংসার করে না। স্বামীর ঘরে সংসার পাতে। 


সব দায়িত্ব, কি সুনিপুণ হয়, তার কথা ছাড়া নড়ে না একটা চামচ ও। অধিকার বোধ তীব্র হয় প্রতিটা কাজে তার। 

কিন্তু সে কোন আগ্রহ বোধ দেখায় না তার উপর অধিকার ফলানো, যে অমুকের আর তমুকের বউ বলে সে স্বীকৃত। 


ব্যাপার টা আপনি চোখ মেলে দেখলে প্রতিটি পরিবারে একটা দুটো পেয়ে যাবেন। সত্যিই পাবেন। 





আচ্ছা এই ব্যাপার টা কি একদিনে হয়েছে? এমন নিস্পৃহ আর নিষ্প্রাণ অনুভূতি কি কেউ শখ করে মেখে নেয়? 

আজ না সে মধ্যবয়স্ক। ছেলে মেয়ে বড় হওয়া সে তকমা নিজেই টেনে নিয়েছে। 

তবে  বিয়ের দুই তিন বছর পর ও অনেকে এমন নিষ্প্রাণ হয়, কেউ দশ বছর পর,কেউ বিশ বছর। 

 কিন্তু কাউকে ভালোবাসতে পারার আগ্রহ বা ইচ্ছে তো মানুষ একদিনে হারায় না।


কি নিদারুন অবহেলা, অভিযোগের শব্দ হারানোর আকুতি ধীরে ধীরে এমন অনুভূতি হীন হয়ে পড়ে কোন নারী তা শুধু সেই জানে। 

আজ যার ইস্পাতের মতো দৃঢ় ব্যক্তিত্ব,  কি মলিন নেতানো তিক্ত অনুভূতি সে পুরানো জিনিসের মতো ধুলো জমা তাকে জমিয়ে রেখেছে তা শুধু সেই জানে, যেমন গোপনে জমানো তার কোন ব্যাংক জমার রশিদ।


এই নিষ্প্রাণ অনুভূতি টা সাড়ানো কোন তাড়া এক সময় তারা আর অনুভব করে না৷ 

সংসার সংসার খেলায় দিব্যি দিন কেটে যায়। চলে যায় সে মানুষ টাও। 

কিন্তু এরা একা হয় না। ভেঙে পড়ে না। কারণ অনেক শতাব্দী অবধি সে একাই এই সংসারে একা সংসার করে যাচ্ছে।





একটা সময়ের পর অধিকাংশ নারী স্বামীর সাথে সংসার করে না। স্বামীর সংসারে একটা নামের সাথে সংসার করে। 

কি নিদারুন অদ্ভুত সত্য! একটা দীর্ঘশ্বাস ও থাকে না সে নামের সংসারে এতটাই অনুভূতি হীন,এই সংসারের সংসার। 


একটা সময়ের পর অধিকাংশ নারীই নামের সাথে সংসার করে ব্যক্তির সাথে নয়।




English version 👉



After a while, most women do not live with their husbands. They live in their husbands' houses. 


Even though we laugh at this, we ourselves do not know how true and eternal this is. It is so much mixed up in everyday life that we do not even notice it separately. 


It does not matter whether you are upper class, middle class or lower class, newly married, middle-aged or old. This is spread everywhere. 


After a while, the family becomes that of the woman who comes to that house on shaky legs. 

Even if she has a close relationship with her brother-in-law, sister-in-law, father-in-law, mother-in-law, relatives, children, she does not stay with one person. 

She remains only the wife of so-and-so. 

An entire life passes with this name. An entire century of family. 


Both fulfill their responsibilities equally. 

But there is no attraction or existence in feelings.  They are not seen talking unnecessarily throughout the day. They are not seen sitting next to each other and talking about new and old things. They have no separate words. No separate time. No one praises anyone. No one looks at them. As if it is normal. 


Many people sleep in separate beds for many years. 


We see many people like our grandparents, uncles, aunts, and maybe even parents. I know. But no one has any separate thoughts or time to think about this. The thought of having a separate feeling or being for that woman or man comes to mind. 


For many, this becomes a matter of relief. 


Children do not have any separate expressions about this. As if this is a normal relationship between parents. 


After a while, most women do not live with their husbands. They live in their husband's house. 


All the responsibilities, no matter how skillful they are, not a single spoon moves without his word. His sense of entitlement is intense in every task. 

 But he shows no interest in exercising his rights over her, who is recognized as the wife of so and so. 


If you look at this matter with your eyes open, you will find one or two in every family. You will really find it. 


Well, did this matter happen in a day? Does anyone develop such a disinterested and lifeless feeling as a hobby? 

Today, he is middle-aged. He has earned that label by raising a son or daughter. 

However, after two or three years of marriage, many people become so lifeless, some after ten years, some after twenty years. 

But people do not lose the interest or desire to love someone in a day. 


Only a woman knows what kind of neglect, the desire to lose the word of complaint, gradually makes such feelings worthless. 

Today, only she knows whose strong personality like steel, what dirty, bitter feelings have accumulated in her like an old thing, like a secret bank deposit receipt. 


 They no longer feel any rush to respond to this lifeless feeling. 

Days pass by in the game of family and family. That person also leaves. 

But they are not alone. They do not break down. Because for many centuries, they have been living alone in this world. 

After a while, most women do not live with their husbands. They live with a name in their husband's world. 

What a strange truth! Not even a sigh remains in the world of that name, so devoid of feeling, this world of life. 


After a while, most women live with a name, not with a person.

Comments

Popular posts from this blog

A girl was having bangla golpo

  একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই |  A girl was having a lot of trouble in her married life English convert scroll 👇 Married life পরিবর্তনের শুরু নিজেকে বদলে দেওয়া থেকেই : তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।  একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয়‌ পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??” bangla golpo মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।” মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:- ১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে। ২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাব...

Mandra was sitting bangla golpo

Mandra was sitting quietly in a corner of the hospital's black chair. She suddenly fainted ||হাসপাতালের কালো চেয়ারের এক কোণে চুপচাপ বসেছিল মন্দ্রা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বেশি কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই সে বাবাকে সামনের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে| খানিক আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারল বাবার মাথায় ক্লট জমেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে| এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, তার টিউশনের দু হাজার টাকাও পরিবারের কাছে অনেক| ষাট হাজার টাকা... অঙ্কটা তাদের মতো পরিবারের জন্য অনেক| দিন দুয়েকের মধ্যে তো দূর, বছরখানেকের মধ্যেও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ! রিসেপশন ডেস্কে বসা গোলাপি ইউনিফর্ম পরা মহিলার কাছ থেকে টাকার অঙ্কটা শোনার পরপরই মন্দ্রার মনে হল মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া বোধহয় একেই বলে| এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তার, তবে কি বাবা আর প্রাণে বাঁচবে না? মা কেমন ছিল ভাল করে মনেও নেই তার, অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে তাকে ফেলে পালিয়েছে| বাবাই খেয়ে না খেয়ে পক্ষী মাতার মতো বুকে আগলে রেখেছিল এতদিন| কিন্তু বাবাই যদি তারাদের দেশে চলে যায়, একলা কিভাবে বাঁচবে মন্দ্রা? কথাটা ...

Pride is terrible bangla golpo

  যার ভালোবাসা গভীর তার অভিমান ভয়ংকর | He whose love is deep his pride is terriblehoop English convert scroll 👇 মানুষকে কখনও একা কাঁদার সময় দিতে নেই জানেন! একবার কেউ একা কাঁদতে শিখে গেলে, তার আর কারও প্রয়োজন হয় না।  -আগে জানতাম না, তবে এখন জানি। মেয়েদের অভিমান ভালোবাসার চেয়েও ভয়ংকর।  -আংশিক ভুল জানেন আপনি।  -সঠিকটা তবে জানিয়ে দিন।  -যার ভালোবাসা যত গভীর, তার অভিমান তত ভয়ংকর।  -আপনি বলছেন যখন, মেনে নিলাম।  -আপনার ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না জ্যোতিষ্ক?  -করে তো! কিন্তু জীবনের সাময়িক উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে এমন কিছু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেছে, যা আমি চাইলেও ফেরাতে পারব না। আপনার গল্প বলুন ম্যাডাম। যাঁরা ভালোবাসতে জানেন, তাঁদের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনতে ভালো লাগে।  -আমি আর কী বলব? যখন মন ভুল পথনির্দেশ দেয়, তখন সঠিক পথে হাঁটার জন্য নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হয়। আমিও গেছি, এখন একরকম ভালোই আছি।  -সত্যিই ভালো আছেন? কতটা ভালো আছেন? জানতে ইচ্ছে করে।  -ঠিক জানি না। কী পেয়েছি, কতটা হারিয়েছি, সেই হিসেব রাখি না। আজকাল নিজের ভালো থাকার চেয়েও, অন্যের ভাল...