Skip to main content

Mother feel sad bangla golpo

 স্ত্রীর সাথে সময় কাটালে মা কেন কষ্ট পায় |Why does a mother feel sad when she spends time with her wife?


English convert scroll down 👇





শাহিন যখন স্ত্রীকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে, তখন তার মা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। মুখে কিছু না বললেও বুকের ভেতরটা যেন মোচড় দিয়ে ওঠে। এটা শুধু শাহিনের মায়ের নয়, হাজারো মায়ের অনুভব। সন্তানের মুখে হাঁসি দেখলেই যেসব মায়েরা শান্তি খুঁজে পান, তারাই বা কেন সন্তানের সুখ দেখে অশান্ত হন?


প্রশ্নটা কঠিন, কিন্তু উপেক্ষা করার মতো নয়।


বাবা বা শ্বশুর তো কখনো এমন দৃশ্য দেখে কষ্ট পান না। তাহলে মায়ের কষ্টটা কোথা থেকে আসে?


এই কষ্টের শিকড় অনেক গভীরে। অনেক সময়, এক নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হয়ে দাঁড়ায় তার আর্থিক নির্ভরতা। মেয়েরা আজও অনেক ক্ষেত্রে নিজের নামে কিছুই রাখে না। বাবা-মায়ের ঘর থেকে স্বামীর ঘরে, আর সেখান থেকে সন্তানদের ঘরে আশ্রয় খোঁজে। কিন্তু আশ্রয় মানেই নিরাপত্তা নয়। সেই নিরাপত্তাহীনতাই হয়তো একদিন সন্তানকে নিজের শেষ আশ্রয় মনে করায়।




বিয়ের আগে সন্তান মায়ের ছায়ায় থাকে, তার কথা শোনে, ভালোবাসে। বিয়ের পর এই সম্পর্কটায় বদল আসে। মা অনুভব করে, হয়তো তার জায়গাটা কেউ দখল করে নিচ্ছে। হয়তো নিজের সবটুকু দিয়ে যাকে গড়ে তুলেছেন, তার ভালোবাসার ছায়া আর তার গায়ে পড়ে না। তখনই মায়ের ভিতর এক অদৃশ্য ভয় ঢুকে পড়ে—ভালোবাসা হারানোর ভয়, নির্ভরতার মাটি সরে যাওয়ার ভয়।


এই ভয় কাটাতে হলে দরকার নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।


মায়ের নামে একটি একাউন্ট হোক, স্ত্রীর জন্য মাসিক সঞ্চয়ের ব্যবস্থা থাকুক—এই ছোট উদ্যোগগুলো বড় পরিবর্তনের পথ খুলে দিতে পারে।


আমি নিজে আমার স্ত্রীর নামে একটি একাউন্ট খুলে সেখানে মাসে তিন হাজার টাকা জমা রাখি। আমি তাকে বলেছি, যদি কোনোদিন আমাকে ছেড়ে যেতে চাও, তাহলে যেন অন্তত টাকার অভাবে আটকে না পড়ো।




আমি রোজগার করি, আর তুমি ঘরের কাজ করো—এই দুইটাই সমান মূল্যবান। তুমি যদি আমার জীবনের অংশ হও, তাহলে আমার সম্পদেও তোমার অধিকার থাকা উচিত।


এক সময় সে নিজের জন্য পাঁচশ টাকা জমিয়ে রাখত, বাবার বাড়ি যেতে হলে যেন যেতে পারে। এখন আর লাগে না, আমি চেষ্টা করি ঝগড়াকে এড়াতে। তার মুখে রাগ থাকলেও আমি মাথা নিচু করে শুনি। হয়তো ইচ্ছায়, হয়তো বাধ্য হয়ে—তবু হার মানি।


এই লেখাটা যদি আমার স্ত্রী পড়ে, আশা করি শেষ লাইনটা পর্যন্ত না পড়ে। পড়লে হয়তো নতুন ঝগড়া শুরু হবে!


To dry the tears from mothers' eyes, women must be given the keys to economic freedom. Love only survives when its foundation is strong in respect and equality.



শেষ কথা:

মায়েদের চোখে জল শুকাতে হলে, নারীর হাতে দিতে হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার চাবি। ভালোবাসা তখনই টেকে, যখন তার ভিত মজবুত হয় সম্মান আর সমতায়।



English version 👉


When Shahin closes the door with his wife, his mother stands silently. Even though she doesn't say anything, her heart feels twisted. This is not just Shahin's mother's feeling, but the feeling of thousands of mothers. Why are mothers who find peace when they see their children smile, so upset when they see their children happy?


The question is difficult, but not one to ignore.


Fathers or father-in-law never feel pain when they see such a scene. So where does the mother's pain come from?


The roots of this pain are very deep. Many times, the biggest weakness in a woman's life is her financial dependence. Even today, in many cases, girls do not keep anything in their own name. They seek shelter from their parents' house to their husband's house, and from there to their children's house. But shelter does not mean security. That insecurity may one day make the child feel like their last refuge.


Before marriage, the child lives in the shadow of the mother, listens to her, loves her. After marriage, this relationship changes. The mother feels that someone may be taking her place.  Maybe the love of the one she has raised with all her might no longer falls on her. That's when an invisible fear creeps into the mother—the fear of losing love, the fear of losing the foundation of trust.


To overcome this fear, women need economic empowerment.


Whether it's an account in the mother's name, or a monthly savings arrangement for her wife—these small initiatives can pave the way for big changes.


I myself open an account in my wife's name and deposit three thousand taka there every month. I told her, if you ever want to leave me, at least don't be stuck with a lack of money.


I earn money, and you do housework—both are equally valuable. If you are a part of my life, then you should have a right to my wealth too.


At one time, she used to save five hundred taka for herself, so that she could go to her father's house. Now she doesn't need it anymore, I try to avoid arguments. Even when she is angry, I listen with my head down. Maybe willingly, maybe forcedly—still, I give in.


 If my wife reads this, I hope she doesn't read the last line. If she does, it might start a new fight!









More page next



বেশী কচলালে মধু বের হতে পারে | If you stir too much, honey may come out


Comments

Popular posts from this blog

A girl was having bangla golpo

  একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই |  A girl was having a lot of trouble in her married life English convert scroll 👇 Married life পরিবর্তনের শুরু নিজেকে বদলে দেওয়া থেকেই : তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।  একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয়‌ পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??” bangla golpo মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।” মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:- ১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে। ২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাব...

Mandra was sitting bangla golpo

Mandra was sitting quietly in a corner of the hospital's black chair. She suddenly fainted ||হাসপাতালের কালো চেয়ারের এক কোণে চুপচাপ বসেছিল মন্দ্রা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বেশি কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই সে বাবাকে সামনের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে| খানিক আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারল বাবার মাথায় ক্লট জমেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে| এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, তার টিউশনের দু হাজার টাকাও পরিবারের কাছে অনেক| ষাট হাজার টাকা... অঙ্কটা তাদের মতো পরিবারের জন্য অনেক| দিন দুয়েকের মধ্যে তো দূর, বছরখানেকের মধ্যেও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ! রিসেপশন ডেস্কে বসা গোলাপি ইউনিফর্ম পরা মহিলার কাছ থেকে টাকার অঙ্কটা শোনার পরপরই মন্দ্রার মনে হল মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া বোধহয় একেই বলে| এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তার, তবে কি বাবা আর প্রাণে বাঁচবে না? মা কেমন ছিল ভাল করে মনেও নেই তার, অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে তাকে ফেলে পালিয়েছে| বাবাই খেয়ে না খেয়ে পক্ষী মাতার মতো বুকে আগলে রেখেছিল এতদিন| কিন্তু বাবাই যদি তারাদের দেশে চলে যায়, একলা কিভাবে বাঁচবে মন্দ্রা? কথাটা ...

Pride is terrible bangla golpo

  যার ভালোবাসা গভীর তার অভিমান ভয়ংকর | He whose love is deep his pride is terriblehoop English convert scroll 👇 মানুষকে কখনও একা কাঁদার সময় দিতে নেই জানেন! একবার কেউ একা কাঁদতে শিখে গেলে, তার আর কারও প্রয়োজন হয় না।  -আগে জানতাম না, তবে এখন জানি। মেয়েদের অভিমান ভালোবাসার চেয়েও ভয়ংকর।  -আংশিক ভুল জানেন আপনি।  -সঠিকটা তবে জানিয়ে দিন।  -যার ভালোবাসা যত গভীর, তার অভিমান তত ভয়ংকর।  -আপনি বলছেন যখন, মেনে নিলাম।  -আপনার ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না জ্যোতিষ্ক?  -করে তো! কিন্তু জীবনের সাময়িক উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে এমন কিছু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেছে, যা আমি চাইলেও ফেরাতে পারব না। আপনার গল্প বলুন ম্যাডাম। যাঁরা ভালোবাসতে জানেন, তাঁদের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনতে ভালো লাগে।  -আমি আর কী বলব? যখন মন ভুল পথনির্দেশ দেয়, তখন সঠিক পথে হাঁটার জন্য নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হয়। আমিও গেছি, এখন একরকম ভালোই আছি।  -সত্যিই ভালো আছেন? কতটা ভালো আছেন? জানতে ইচ্ছে করে।  -ঠিক জানি না। কী পেয়েছি, কতটা হারিয়েছি, সেই হিসেব রাখি না। আজকাল নিজের ভালো থাকার চেয়েও, অন্যের ভাল...