Skip to main content

planning the picnic bangla golpo

Shall we start planning the picnic ||পিকনিকের প্ল্যান টা শুরু করি তাহলে?




একদম। 

বুধবার তিথির বাড়িতে দুপুর থেকেই আয়োজন শুরু হবে, কেমন? 

— সে ঠিক আছে। কিন্তু কারা কারা করছি বলবি তো? 

— আমরা এই ক'জন আর ঐদিকে... পূজা, প্রতিম, অরুন আর শ্রেয়া। 

— এই পল্লবী, মিতা কে বলবি না? মানে ও তো আমাদের সাথেই...

— ধুর! ওকে না একদম ভালো লাগে না...খুবই ইরিটেটিং! 

— ঠিকই বলেছিস। 

— ওকে আমার একদম ভালো লাগে না, পিয়া। কথা বলতে হয় তাই বলি...

— আমারও না! খুব বোকা ও... 

— তা যা বলেছিস! ক্লাসের হোময়ার্ক, নোটস লিখে দেওয়া, ভালো টিফিন আনা...

—এই চুপ, চুপ! 

— চুপ কেন? ওই বোকাটাকে দিয়ে সব কাজ করিয়ে নেওয়া যায়, বন্ধু ভাবিয়ে... হাহাহাহা! 

— উফফফ! পল্লবী, তুই থামবি!

— কেন থামবো... ও এক্কেবারে মাথামোটা... 

— তোর পিছনে মিতা ।

—কীইইইইইই? Golpo

—আয় মিতা, বোস। ...হঠাৎ আমার বাড়িতে? 

— তোর আর পল্লবীর প্রজেক্টটা হয়ে গেছে, তাই দিতে এলাম। 

— এটা তো কালকে স্কুলেই দিতে পারতিস!

— কালকে আমি স্কুল যাবো না, আর কালকেই প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার লাস্ট দিন। তাই ভাবলাম তোর বাড়িতেই এসে দিয়ে যাই... তাই সাথে করে পল্লবীরটাও নিয়ে এলাম। 

— থাঙ্কস রে! তুই কত্ত ভালো রে... তুই না করে দিলে প্রজেক্টটা করতেই পারতাম না। থাঙ্কস। 

— আমি ভালো আর তার সাথে বোকাও, তাই না পল্লবী? 

— মানে? 

— কিছুই না। তোদের পিকনিকের প্ল্যানে ডিসটার্ব করলাম, সরি... আসি। 

— এই দাঁড়া, দাঁড়া...

— চলে গেলো তো! 

— ও সব শুনেছে। তোকে বলছিলাম চুপ কর, চুপ কর। 

— শুনলে শুনবে... কাজটা তো হয়ে গেলো! হাহাহাহা...

— কিন্তু পরে যদি...

— হেল্প না করে? ধুর, ও যা বোকা আবার করে দেবে। ছাড় তো...


প্রিয়ার বাড়ি থেকেই চোখ ভর্তি জল নিয়ে বের হয় মিতা। তাকে বোঝবার মতন কেউ নেই, কোনো বন্ধু নেই... যারা ছিল তাড়াতাড়ি কেবল স্বার্থের জন্যই মিশলো তাই সাথে, আর এই সত্য উদ্ঘাটন করলো সে নিজেই। কাঁদতে কাঁদতে ওদের বাড়ির সামনের হনুমানজীর মন্দিরে গিয়ে ঢুকলো, সিঁড়িতেই বসে আরো কিছুক্ষন কাঁদলো তারপর বিগ্রহের সামনে গিয়ে উৎকণ্ঠায় বলে...

— আমার সাথেই কেন এমন হয়? বলতে পারো? কেন হয় আমার সাথে এমন... যাকেই বন্ধু ভাবি, নিস্বার্থ ভাবে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিই; তারাই আমার সাথে এমন করে। আমাকে পিকনিকের নেবে না বলে আমার একটুও কষ্ট হচ্ছে না, কিন্তু তারা আমাকে কেবল সুযোগের জন্যই মিশেছে... বন্ধু হিসেবে নয়। আমার একটাও বন্ধু নেই, তুমি আমার ফ্রেন্ড হবে? 


একটা নিঃশ্বাসে নিজের মনের কথা উগরে দেয়, মিতা বিগ্রহের দিকে খানিকক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। চোখের জল শুকিয়ে গেছে, আবারও সে বলে—

— তুমি আমার বন্ধু হবে? আমি খুব একা...


চুপচাপ কিছুক্ষণ কাটে,মন্দিরে কেউ নেই।মন্দিরের নিস্তব্ধতাকে ভাঙে এক কোমল কণ্ঠস্বর,

— তুমি তো একা না! আমি তো আছি...

মিতা ধীরে ঘুরে তাকায়। সিঁড়ি দিয়ে এক ছোট্ট ছেলে উঠছে, বয়স বড়জোর সাত। গায়ে পুরনো স্কুল ইউনিফর্ম, গলায় একটা নীল ব্যাগ। হাতে কয়েকটা ফুল; মন্দির চত্বর থেকে কুড়িয়ে আনা বোধ হয়। ছেলেটা এসে বিগ্রহের সামনে দাঁড়ায়। ফুলগুলো রেখে দেয় হনুমানজীর পায়ে, তারপর বলে—

— হনুমানজী তো তোমার বন্ধুই... যখন ডাকবে তখনি তোমার পাশে এসে দাঁড়াবে। তোমার নাম কী?

— মিতা।

— মিতা মানে তো বন্ধু। আমি তোমার বন্ধু, এই নাও চকোলেট। 


ছেলেটা হেসে চকোলেট বের করে মিতার হাতে দিয়ে বলে—

— এটা শুধু তোমার জন্য, বন্ধু।


হাতটা মিতার হাতে ছোঁয়ামাত্রই একটা অদ্ভুত শান্তি ভরে যায় তার বুকের মধ্যে। যেন দুঃখটা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে।

মিতা কাঁপা গলায় বলে story

— তুমি কে?


ছেলেটা হেসে বলে—

— বন্ধু, তোমার বন্ধু। 

তারপর এক দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। মিতা উঠে জানালার পাশ থেকে খুঁজে দেখে-মন্দিরের বাইরে কেউ নেই। রাস্তা ফাঁকা। সেই বাচ্চার কোনো চিহ্নও নেই। মিতা ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। চকোলেটটা তার হাতে।


সে বিগ্রহের সামনে এসে দাঁড়ায়। কেমন যেন একটা চকলেট চকলেট গন্ধ আসছে বিগ্রহের হাত থেকে। 








More related topics 


A person who dies from a ten-minute chest pain | দশ মিনিটের বুকে ব্যথায় যিনি মারা যাচ্ছেন


Comments

Popular posts from this blog

A girl was having bangla golpo

  একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই |  A girl was having a lot of trouble in her married life English convert scroll 👇 Married life পরিবর্তনের শুরু নিজেকে বদলে দেওয়া থেকেই : তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।  একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয়‌ পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??” bangla golpo মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।” মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:- ১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে। ২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাব...

Mandra was sitting bangla golpo

Mandra was sitting quietly in a corner of the hospital's black chair. She suddenly fainted ||হাসপাতালের কালো চেয়ারের এক কোণে চুপচাপ বসেছিল মন্দ্রা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বেশি কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই সে বাবাকে সামনের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে| খানিক আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারল বাবার মাথায় ক্লট জমেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে| এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, তার টিউশনের দু হাজার টাকাও পরিবারের কাছে অনেক| ষাট হাজার টাকা... অঙ্কটা তাদের মতো পরিবারের জন্য অনেক| দিন দুয়েকের মধ্যে তো দূর, বছরখানেকের মধ্যেও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ! রিসেপশন ডেস্কে বসা গোলাপি ইউনিফর্ম পরা মহিলার কাছ থেকে টাকার অঙ্কটা শোনার পরপরই মন্দ্রার মনে হল মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া বোধহয় একেই বলে| এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তার, তবে কি বাবা আর প্রাণে বাঁচবে না? মা কেমন ছিল ভাল করে মনেও নেই তার, অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে তাকে ফেলে পালিয়েছে| বাবাই খেয়ে না খেয়ে পক্ষী মাতার মতো বুকে আগলে রেখেছিল এতদিন| কিন্তু বাবাই যদি তারাদের দেশে চলে যায়, একলা কিভাবে বাঁচবে মন্দ্রা? কথাটা ...

Pride is terrible bangla golpo

  যার ভালোবাসা গভীর তার অভিমান ভয়ংকর | He whose love is deep his pride is terriblehoop English convert scroll 👇 মানুষকে কখনও একা কাঁদার সময় দিতে নেই জানেন! একবার কেউ একা কাঁদতে শিখে গেলে, তার আর কারও প্রয়োজন হয় না।  -আগে জানতাম না, তবে এখন জানি। মেয়েদের অভিমান ভালোবাসার চেয়েও ভয়ংকর।  -আংশিক ভুল জানেন আপনি।  -সঠিকটা তবে জানিয়ে দিন।  -যার ভালোবাসা যত গভীর, তার অভিমান তত ভয়ংকর।  -আপনি বলছেন যখন, মেনে নিলাম।  -আপনার ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না জ্যোতিষ্ক?  -করে তো! কিন্তু জীবনের সাময়িক উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে এমন কিছু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেছে, যা আমি চাইলেও ফেরাতে পারব না। আপনার গল্প বলুন ম্যাডাম। যাঁরা ভালোবাসতে জানেন, তাঁদের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনতে ভালো লাগে।  -আমি আর কী বলব? যখন মন ভুল পথনির্দেশ দেয়, তখন সঠিক পথে হাঁটার জন্য নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হয়। আমিও গেছি, এখন একরকম ভালোই আছি।  -সত্যিই ভালো আছেন? কতটা ভালো আছেন? জানতে ইচ্ছে করে।  -ঠিক জানি না। কী পেয়েছি, কতটা হারিয়েছি, সেই হিসেব রাখি না। আজকাল নিজের ভালো থাকার চেয়েও, অন্যের ভাল...