Skip to main content

the new customer of that digital brothel

 আপনিই কি সেই ডিজিটাল পতিতালয়ের নতুন খদ্দের |  Are you the new customer of that digital brothel




রাতের অন্ধকারে, সবার থেকে লুকিয়ে যখন ফোনের স্ক্রিনে আঙুল বোলান, আপনার বুকে কি একবারও কাঁপুনি ধরে না? একবার নিজের অন্তরাত্মাকে প্রশ্ন করুন তো, আপনি ঠিক কী খুঁজছেন? জ্ঞান, বিনোদন, নাকি কোনো অচেনা বৌদির ভেজা তোয়ালের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া নিষিদ্ধ শরীরের ইঙ্গিত?


আপনার কপালে হয়তো চিন্তার ভাঁজ, "ছি ছি, আমি এমন নই!" কিন্তু আপনার ফোনের সার্চ হিস্ট্রি যে অন্য কথা বলছে! আপনি যখন রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাশ কাটিয়ে এক মাঝবয়সী মহিলার "বুকের খাঁজ" দেখানো কবিতায় গিয়ে থামেন, তখন কি একবারও মনে হয় না, আপনি আসলে কবিতা নয়, তাঁর শরীরটাকেই ভোগ করছেন? কবিতা এখন কানে শোনার জিনিস নয়, চোখে দেখার বস্তু হয়ে গেছে; আর বক্ষ-বিভাজিকাই যেন তার আসল ছন্দ, আসল অলংকার! Golpo 

Relationship love





ভাবুন তো সেই দৃশ্যটার কথা। এক মহিলা প্রায় অর্ধ-নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে প্রশ্ন করছেন, "দেখুন তো আমি কী পরে আছি?" আর লক্ষ লক্ষ পুরুষের দল হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সেই ভিডিওতে। আপনার একটা লাইক, আপনার একটা ভিউ ওদের কাছে এক-একটি কয়েনের মতো। আপনার এই সস্তা কৌতূহল দিয়েই সে হয়তো মাসের সংসারের টাকাটা তুলে নিচ্ছে। আপনি ভাবছেন, আপনি শুধু দর্শক। কিন্তু আসলে আপনি সেই খদ্দের, যে নিজের অজান্তেই এক ডিজিটাল পতিতালয়কে দিনের পর দিন আরও বড় করে তুলছে।


"দেওরকে আজ যা দিলাম না!"—এই একটা লাইনের টোপেই আপনি বোকার মতো ক্লিক করছেন। কী দেবে, কেন দেবে, সেই আদিম কৌতূহল আপনার মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। আপনার মগজ জানে, ভেতরে কিছুই নেই, কিন্তু আপনার শরীরী প্রবৃত্তি আপনাকে সেই নোংরামির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আপনি ভুলে যাচ্ছেন, যে সময়টা আপনি জ্ঞানের জন্য খরচ করতে পারতেন, সেই সময়টা আপনি এক নারীর সস্তা নাটকের দর্শক হয়ে কাটাচ্ছেন।


সমাজের বড় বড় কথা বলা লোকগুলোও রাতের গভীরে এই "নাইটি-বিলাসে" মত্ত। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে একদল বিকৃত মস্তিষ্কের কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারা জানে, শিক্ষামূলক ভিডিওতে নয়, ভিউ লুকিয়ে আছে শাড়ির আঁচলের গভীরতায়। তারা জানে, আপনার পৌরুষকে জাগিয়ে তুলতে বাপ, দেওর, বা শ্বশুরকে নিয়ে যৌন উস্কানিমূলক গল্প বানাতে হবে। আর আপনি, শিক্ষিত, সভ্য সমাজের একজন হয়েও সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন।


আপনি কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, কেন এমন হচ্ছে? কারণ, আপনিও সেই শিকারি, যে সহজ শিকার ভালোবাসে। বইয়ের পাতার কঠিন জ্ঞান আপনার কাছে বিরক্তিকর, কিন্তু তোয়ালে পরা তরুণীর শরীরের বাঁক আপনার চোখে অমৃত সমান। আপনি সেই সহজলভ্য উত্তেজনার দাস হয়ে গেছেন, যা আপনার মনুষ্যত্বকে একটু একটু করে খেয়ে ফেলছে। আপনার এই রুচির দুর্ভিক্ষই আজ সমাজকে এই পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে।


ঐশ্বর্য বা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি কন্টেন্ট আপনার চোখে পড়ে না, কারণ সেখানে কোনো শরীরী ইঙ্গিত নেই, কোনো নিষিদ্ধতার গন্ধ নেই। আপনি সেই গন্ধটাই খুঁজছেন। আর আপনার এই খোঁজের কারণেই আজ আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের শিক্ষা, আমাদের রুচিবোধ এক ভয়ংকর খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে।




নিজেকে এই নোংরামি থেকে বের করে আনবেন কীভাবে?


যখনই কোনো উত্তেজক থাম্বনেইল বা ক্যাপশন দেখবেন, নিজেকে প্রশ্ন করুন, "এটা দেখে আমার কী লাভ হবে? আমি কি আমার মূল্যবান সময় এই আবর্জনার পেছনে নষ্ট করব?" আপনার আত্মসম্মানবোধকে জাগিয়ে তুলুন।


যখন কোনো শিক্ষামূলক বা ভালো রুচির ভিডিও দেখবেন, তখন সেটাতে লাইক দিন, শেয়ার করুন। আপনার সমর্থনই ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করবে। মনে রাখবেন, দর্শক যা চায়, বাজার সেটাই সরবরাহ করে। আপনার চাহিদা বদলান, বাজার বদলাতে বাধ্য হবে।


আজ আপনি যা দেখছেন, কাল আপনার সন্তান সেটাই শিখবে। আপনি কি চান, আপনার সন্তান পড়াশোনা ছেড়ে "কীভাবে শরীর দেখিয়ে টাকা কামানো যায়" সেটা শিখুক? আপনি কি চান, সে সম্মান আর ভালোবাসার বদলে সস্তা যৌনতাকে জীবনের মূলমন্ত্র বানাক? যদি উত্তর 'না' হয়, তাহলে আজই নিজেকে বদলান। কারণ, আপনার রুচিই আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।


ফেসবুকের এই সস্তা বিনোদনের বাইরেও একটা সুন্দর জগত আছে। বই পড়ুন, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান, নিজের শখকে গুরুত্ব দিন। দেখবেন, আপনার ভেতরের শূন্যতাটা ভরে উঠছে এবং এই সব নোংরামি আপনার কাছে অর্থহীন মনে হবে।


শেষ প্রশ্নটা আপনার কাছেই। আপনি কি এই ডিজিটাল নর্দমার একজন কীট হয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন, নাকি নিজের রুচির দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়ে একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে বাঁচবেন?


আমার এই লেখাটা পড়ে হয়তো আপনার অস্বস্তি হচ্ছে, রাগ হচ্ছে। হওয়াই স্বাভাবিক। Article page কারণ, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের কদর্য রূপটা দেখার সাহস সকলের থাকে না। সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি দর্শক থাকবেন, নাকি পরিবর্তনের কারিগর হবেন?



English version :


Are you the new customer of that digital brothel?


In the dark of night, when you tap your phone screen, hiding from everyone, doesn't your chest tremble once? Ask your inner self, what exactly are you looking for? Knowledge, entertainment, or a hint of a forbidden body peeking through the gap of an unknown woman's wet towel?


You may have a frown on your forehead, "Oh, I'm not like that!" But your phone's search history says something else! When you pass by Rabindranath's poems and stop at a poem showing a middle-aged woman's "chest groove", don't you ever think that you are actually enjoying not the poem, but her body? Poetry has now become an object of sight, not of hearing; and the cleavage is its real rhythm, its real ornament!


Just think of that scene. A woman, almost half-naked, asks in front of the camera, "Look what I'm wearing?"  And millions of men are drooling over that video. Your one like, your one view is like a coin to them. With this cheap curiosity of yours, he might be taking away the monthly salary. You think you are just a viewer. But in fact, you are the customer who is unknowingly making a digital brothel bigger day after day.


"What did I not give to Deor today!"—You are clicking like a fool on the bait of this one line. What to give, why to give, that primitive curiosity is taking control of your brain. Your brain knows that there is nothing inside, but your physical instinct is pushing you towards that filth. You are forgetting that the time that you could have spent on knowledge, that time you are spending as a spectator of a woman's cheap drama.


Even the people who talk big in society are intoxicated with this "night-life" in the depths of the night. And a group of content creators with distorted minds are taking this opportunity.  They know that the views are hidden deep in the folds of the saree, not in educational videos. They know that to awaken your masculinity, you have to make sexually provocative stories about your father, brother-in-law, or father-in-law. And you, being an educated, civilized person, are falling into that trap.


Have you asked yourself why this is happening? Because, you are also a hunter who loves easy prey. The hard knowledge of the pages of a book is boring to you, but the curves of a young woman in a towel are like nectar in your eyes. You have become a slave to that easily available excitement, which is eating away your humanity little by little. It is this famine of your taste that has brought society to this stage today.


You do not notice the content made about Aishwarya or Rabindranath Tagore, because there is no physical hint there, no smell of prohibition. You are looking for that smell.  And because of your search, today our culture, our education, our taste buds are on the brink of a terrible abyss.


How do you get yourself out of this filth?


Whenever you see a provocative thumbnail or caption, ask yourself, "What will I gain from watching this? Will I waste my precious time on this garbage?" Awaken your self-esteem.


When you see an educational or tasteful video, like it, share it. Your support will encourage good content creators. Remember, the market provides what the audience wants. Change your needs, and the market will be forced to change.


What you watch today, your child will learn tomorrow. Do you want your child to quit his studies and learn "how to make money by showing off his body"? Do you want him to make cheap sex the motto of life instead of respect and love? If the answer is 'no', then change yourself today.  Because, your taste will shape your child's future.


There is a beautiful world beyond this cheap entertainment of Facebook. Read books, spend time with loved ones, give importance to your hobbies. You will see, the emptiness inside you is filling up and all this filth will seem meaningless to you.


The last question is for you. Will you spend your life as a worm in this digital sewer, or will you live as a healthy brained person by taking responsibility for your taste?


Reading this article of mine, you may feel uncomfortable, angry. It is natural to feel that. Because, not everyone has the courage to stand in front of the mirror and look at their ugly appearance. The decision is yours. Will you remain a spectator, or will you become an agent of change?





More related article :


The most beautiful face in the world Amber Heard Truth or propaganda



Comments

Popular posts from this blog

A girl was having bangla golpo

  একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই |  A girl was having a lot of trouble in her married life English convert scroll 👇 Married life পরিবর্তনের শুরু নিজেকে বদলে দেওয়া থেকেই : তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।  একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয়‌ পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??” bangla golpo মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।” মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:- ১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে। ২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাব...

Mandra was sitting bangla golpo

Mandra was sitting quietly in a corner of the hospital's black chair. She suddenly fainted ||হাসপাতালের কালো চেয়ারের এক কোণে চুপচাপ বসেছিল মন্দ্রা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বেশি কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই সে বাবাকে সামনের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে| খানিক আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারল বাবার মাথায় ক্লট জমেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে| এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, তার টিউশনের দু হাজার টাকাও পরিবারের কাছে অনেক| ষাট হাজার টাকা... অঙ্কটা তাদের মতো পরিবারের জন্য অনেক| দিন দুয়েকের মধ্যে তো দূর, বছরখানেকের মধ্যেও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ! রিসেপশন ডেস্কে বসা গোলাপি ইউনিফর্ম পরা মহিলার কাছ থেকে টাকার অঙ্কটা শোনার পরপরই মন্দ্রার মনে হল মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া বোধহয় একেই বলে| এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তার, তবে কি বাবা আর প্রাণে বাঁচবে না? মা কেমন ছিল ভাল করে মনেও নেই তার, অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে তাকে ফেলে পালিয়েছে| বাবাই খেয়ে না খেয়ে পক্ষী মাতার মতো বুকে আগলে রেখেছিল এতদিন| কিন্তু বাবাই যদি তারাদের দেশে চলে যায়, একলা কিভাবে বাঁচবে মন্দ্রা? কথাটা ...

Pride is terrible bangla golpo

  যার ভালোবাসা গভীর তার অভিমান ভয়ংকর | He whose love is deep his pride is terriblehoop English convert scroll 👇 মানুষকে কখনও একা কাঁদার সময় দিতে নেই জানেন! একবার কেউ একা কাঁদতে শিখে গেলে, তার আর কারও প্রয়োজন হয় না।  -আগে জানতাম না, তবে এখন জানি। মেয়েদের অভিমান ভালোবাসার চেয়েও ভয়ংকর।  -আংশিক ভুল জানেন আপনি।  -সঠিকটা তবে জানিয়ে দিন।  -যার ভালোবাসা যত গভীর, তার অভিমান তত ভয়ংকর।  -আপনি বলছেন যখন, মেনে নিলাম।  -আপনার ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না জ্যোতিষ্ক?  -করে তো! কিন্তু জীবনের সাময়িক উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে এমন কিছু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেছে, যা আমি চাইলেও ফেরাতে পারব না। আপনার গল্প বলুন ম্যাডাম। যাঁরা ভালোবাসতে জানেন, তাঁদের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনতে ভালো লাগে।  -আমি আর কী বলব? যখন মন ভুল পথনির্দেশ দেয়, তখন সঠিক পথে হাঁটার জন্য নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হয়। আমিও গেছি, এখন একরকম ভালোই আছি।  -সত্যিই ভালো আছেন? কতটা ভালো আছেন? জানতে ইচ্ছে করে।  -ঠিক জানি না। কী পেয়েছি, কতটা হারিয়েছি, সেই হিসেব রাখি না। আজকাল নিজের ভালো থাকার চেয়েও, অন্যের ভাল...