Skip to main content

Scientist Marie Curie bangla ebooks

 বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি যাঁর গবেষণাই হয়ে উঠল তাঁর নিয়তি | Scientist Marie Curie, whose research became her destiny



English convert scroll down 👇






বিজ্ঞানী ম্যারি কুরির নাম এলেই প্রথমেই মনে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে করা তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণার কথা। তিনি ছিলেন ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি, যিনি দুটি ভিন্ন ক্ষেত্রে—পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন—নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এই বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে ছিল অসংখ্য ঝুঁকি, ক্লান্তি আর এমন কিছু ভয়ানক মুহূর্ত, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবনকেই গ্রাস করেছিল।


১৮৯৮ সালে ম্যারি কুরি ও তাঁর স্বামী পিয়েরে কুরি মিলে দুটি নতুন তেজস্ক্রিয় মৌল—পোলোনিয়াম ও রেডিয়াম—উদ্ভাবন করেন। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি স্থাপন করে। তবে তখনকার দিনে তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের স্পষ্ট জ্ঞান ছিল না। সে কারণে গবেষণার সময় ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি কোনো ধরনের রেডিয়েশন প্রতিরক্ষা ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতেন। ম্যারি কুরি এতটাই মনোযোগ দিয়ে রেডিয়াম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন bangla ebook

 রাতে ঘরের অন্ধকারে তিনি রেডিয়াম সল্টের নীলাভ আলো দেখার জন্য তাকে নিজের ডেস্কে রেখে দিতেন। এমনকি নিজের হাতে রেডিয়াম বহন করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন, কারণ তখন এসব পদার্থকে তিনি সরাসরি বিপজ্জনক মনে করতেন না।




এই দীর্ঘমেয়াদী তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে থাকার কারণে ম্যারি কুরির শরীরে ধীরে ধীরে বিপজ্জনক প্রভাব পড়তে থাকে। তাঁর হাড় ও রক্তকণিকার ক্ষয় হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি aplastic anemia নামের একটি প্রাণঘাতী তিনি রক্তজনিত রোগে ভুগে ১৯৩৪ সালে মাত্র ৬৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর ম্যারি কুরিকে সীসার তৈরি কফিনে দাফন করা হয়নি; বরং তখন তাঁর মরদেহ একটি সাধারণ কফিনেই সমাহিত করা হয়েছিল।

 দাফন করা হয়েছিল ফ্রান্সের সোল (Sceaux) নামক স্থানে, তাঁর স্বামী পিয়েরে কুরির কবরের পাশে।



আজও তাঁর ব্যবহার করা গবেষণার নোটবুক, সরঞ্জাম,  এমনকি পোশাক এতটাই তেজস্ক্রিয় যে সেগুলোকে সীসা দিয়ে মোড়ানো বক্সে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং গবেষকরা সেগুলোর কাছে যেতে হলে বিশেষ রেডিয়েশন-প্রতিরোধক পোশাক পরিধান করেন। তবে ১৯৯৫ সালে, ফরাসি সরকার মেরি ও পিয়েরে কুরিকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ জাতীয় মর্যাদার স্মৃতিসৌধ ‘পঁথেওন’ (Panthéon)–এ স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তখন জানা যায়, মেরি কুরির দেহাবশেষে কিছুটা তেজস্ক্রিয়তা রয়ে গেছে এবং সে কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের উভয়কে সীসার কফিনে পুনঃসমাহিত করা হয়।


অর্থাৎ, মৃত্যুর সময় নয়, মৃত্যুর ৬১ বছর পরে যখন পুনঃসমাহিত করা হয় তখন সীসার কফিন ব্যবহার করা হয়েছিল, কারণ ততদিনেও তাঁর দেহাবশেষ থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গত হচ্ছিল—যদিও ক্ষীণ মাত্রায়। এর পাশাপাশি তাঁর গবেষণার নোটবুক, কাপড়চোপড় ও যন্ত্রপাতিগুলোও এখনো সীসার বাক্সে সুরক্ষিত আছে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে গবেষকদের বিশেষ রেডিয়েশন স্যুট পরে অনুমতি নিতে হয়।

Click Home






English version 👉



Scientist Marie Curie, whose research became her destiny


When the name of scientist Marie Curie comes to mind, the first thing that comes to mind is her scientific research with radioactivity and courage. She was the first person in history to be awarded the Nobel Prize in two different fields—physics and chemistry. Behind this scientific success were numerous risks, fatigue, and some terrible moments that ultimately consumed her life.


In 1898, Marie Curie and her husband Pierre Curie discovered two new radioactive elements—polonium and radium. This groundbreaking discovery laid the foundation for modern science on radioactivity. However, at that time, scientists did not have a clear knowledge of the harmful effects of radioactivity. Therefore, Marie Curie and Pierre Curie continued to work without any kind of radiation protection during their research.  Marie Curie experimented with radium so intently that at night, in the dark of her room, she would leave it on her desk to observe the blue glow of radium salts. She would even carry radium around in her hand, because at that time she did not consider these substances to be directly dangerous.




Due to this long-term exposure to radiation, Marie Curie's body gradually began to have dangerous effects. Her bones and blood cells began to deteriorate. Eventually, she died in 1934 at the age of 66 from a fatal blood disease called aplastic anemia. After her death, Marie Curie was not buried in a lead coffin; instead, her body was buried in a simple coffin.


She was buried in a place called Sceaux, France, next to the grave of her husband Pierre Curie.




 Even today, her research notebooks, equipment, and even clothing are so radioactive that they are stored in lead-lined boxes, and researchers must wear special radiation-proof clothing to approach them. However, in 1995, when the French government decided to move Marie and Pierre Curie to the Panthéon, France's highest national monument, it was discovered that Marie Curie's remains contained some radioactivity, and as a precaution, they were both reburied in lead coffins.




That is, the lead coffin was used not at the time of her death, but when she was reburied 61 years later, because her remains were still emitting radiation—albeit at a low level. In addition, her research notebooks, clothing, and equipment are still protected in lead boxes, and researchers must wear special radiation suits to access them.









Comments

Popular posts from this blog

A girl was having bangla golpo

  একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই |  A girl was having a lot of trouble in her married life English convert scroll 👇 Married life পরিবর্তনের শুরু নিজেকে বদলে দেওয়া থেকেই : তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।  একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয়‌ পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??” bangla golpo মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।” মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:- ১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে। ২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাব...

Mandra was sitting bangla golpo

Mandra was sitting quietly in a corner of the hospital's black chair. She suddenly fainted ||হাসপাতালের কালো চেয়ারের এক কোণে চুপচাপ বসেছিল মন্দ্রা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বেশি কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই সে বাবাকে সামনের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে| খানিক আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারল বাবার মাথায় ক্লট জমেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে| এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, তার টিউশনের দু হাজার টাকাও পরিবারের কাছে অনেক| ষাট হাজার টাকা... অঙ্কটা তাদের মতো পরিবারের জন্য অনেক| দিন দুয়েকের মধ্যে তো দূর, বছরখানেকের মধ্যেও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ! রিসেপশন ডেস্কে বসা গোলাপি ইউনিফর্ম পরা মহিলার কাছ থেকে টাকার অঙ্কটা শোনার পরপরই মন্দ্রার মনে হল মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া বোধহয় একেই বলে| এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তার, তবে কি বাবা আর প্রাণে বাঁচবে না? মা কেমন ছিল ভাল করে মনেও নেই তার, অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে তাকে ফেলে পালিয়েছে| বাবাই খেয়ে না খেয়ে পক্ষী মাতার মতো বুকে আগলে রেখেছিল এতদিন| কিন্তু বাবাই যদি তারাদের দেশে চলে যায়, একলা কিভাবে বাঁচবে মন্দ্রা? কথাটা ...

Pride is terrible bangla golpo

  যার ভালোবাসা গভীর তার অভিমান ভয়ংকর | He whose love is deep his pride is terriblehoop English convert scroll 👇 মানুষকে কখনও একা কাঁদার সময় দিতে নেই জানেন! একবার কেউ একা কাঁদতে শিখে গেলে, তার আর কারও প্রয়োজন হয় না।  -আগে জানতাম না, তবে এখন জানি। মেয়েদের অভিমান ভালোবাসার চেয়েও ভয়ংকর।  -আংশিক ভুল জানেন আপনি।  -সঠিকটা তবে জানিয়ে দিন।  -যার ভালোবাসা যত গভীর, তার অভিমান তত ভয়ংকর।  -আপনি বলছেন যখন, মেনে নিলাম।  -আপনার ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না জ্যোতিষ্ক?  -করে তো! কিন্তু জীবনের সাময়িক উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে এমন কিছু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেছে, যা আমি চাইলেও ফেরাতে পারব না। আপনার গল্প বলুন ম্যাডাম। যাঁরা ভালোবাসতে জানেন, তাঁদের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনতে ভালো লাগে।  -আমি আর কী বলব? যখন মন ভুল পথনির্দেশ দেয়, তখন সঠিক পথে হাঁটার জন্য নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হয়। আমিও গেছি, এখন একরকম ভালোই আছি।  -সত্যিই ভালো আছেন? কতটা ভালো আছেন? জানতে ইচ্ছে করে।  -ঠিক জানি না। কী পেয়েছি, কতটা হারিয়েছি, সেই হিসেব রাখি না। আজকাল নিজের ভালো থাকার চেয়েও, অন্যের ভাল...