Skip to main content

YouTubes incredible year journey from disappointment to greatness

 


হতাশা থেকে বিশালতার যাত্রা ইউটিউবের ২০ বছরের অবিশ্বাস্য ইতিহাস | YouTube's incredible 20-year journey from disappointment to greatness




আজ আমরা ইউটিউবকে যেভাবে দেখি—এক বিশাল ভিডিও সাম্রাজ্য, যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ভিডিও দেখে, ভিডিও বানায়, ক্যারিয়ার গড়ে—তার শুরুটা মোটেও এমন ছিল না। বরং এর জন্ম হয়েছিল হতাশা, অনিশ্চয়তা এবং সীমাহীন বিশ্বাসের মিশেলে। ইউটিউবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ চেন একবার বলেছিলেন,
“I am getting pretty depressed … we have maybe 40, 50, 60 videos on this site.”
এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ইউটিউবের শুরুর দিনের বাস্তবতা—খুবই ছোট, পরীক্ষামূলক, আর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান।

শুরুর গল্প: তিন তরুণের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ

সময়টা ২০০৫ সালের শুরু। পেপ্যালের তিন কর্মী—

চ্যাড হার্লে,


স্টিভ চেন,


জাওয়েদ করিম


মিলে একটি সহজ ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ধারণাটি ছিল–ইন্টারনেটে সহজে ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করার একটি জায়গা তৈরি করা। তখন ভিডিও শেয়ার করা ছিল অত্যন্ত কঠিন; বড় ফাইল, ধীরগতির নেট, জটিল আপলোড সিস্টেম—সব মিলিয়ে ভিডিও শেয়ারিং প্রায় অসম্ভব ছিল।

এই তিন তরুণই ভাবলেন—“ভিডিও আপলোড কি আরও সহজ করা যায়?”
এভাবেই জন্ম নিল ইউটিউব—একটি ছোট্ট ওয়েবসাইট, যাকে কেউই তখন গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি।

ইউটিউবের প্রথম ভিডিও: মাত্র ১৯ সেকেন্ড!

ইউটিউবের ইতিহাসের প্রথম ভিডিওটির নাম—
“Me at the zoo”
২৩ এপ্রিল ২০০৫ সালে আপলোড করেন জাওয়েদ করিম নিজেই।
মাত্র ১৯ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে তিনি সোজাসাপ্টা ভাবে চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে হাতির সামনে কিছু কথা বলেছেন।

আজ কোটি কোটি ভিডিওর জগতে এটি খুব সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু এই ক্লিপই ছিল ডিজিটাল দুনিয়ায় নতুন যুগের সূচনা।

তখন প্ল্যাটফর্মে ভিডিওর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা—গুটি কয়েক টেস্ট ভিডিও ছাড়া প্রায় কিছুই না। ক্রিয়েটর ছিল না, দর্শক ছিল না, সাইট ছিল ধীরগতির, আর প্রতিষ্ঠাতাদের মাথায় ছিল শুধু একটাই প্রশ্ন—“এই সাইট আদৌ টিকবে তো?”




ধীরে ধীরে উত্থান

ইউটিউবের উত্থান ঠিক একদিনে হয়নি।
২০০৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ব্যবহারকারীরা নিজেরাই ভিডিও আপলোড করতে শুরু করেন।
কারণ:

আপলোড করা সহজ,


লিংক শেয়ার করা সহজ,


অন্য সাইটে ভিডিও এম্বেড করা যায়।


ফেসবুক, অরকুট, ব্লগ—সব জায়গায় ইউটিউব ভিডিও দেখা শুরু হল।
মানুষ প্রথমবারের মতো অনুভব করল—“আমি চাইলে নিজেই বিশ্বের সামনে আমার ভিডিও দেখাতে পারি।”

এই ক্ষমতাটাই ইউটিউবকে বদলে দিয়েছিল।

২০০৬–২০২৫: ইউটিউবের বিস্ফোরণ

২০০৬ সালে গুগল ইউটিউব কিনে নিল মাত্র ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারে।
এই এক সিদ্ধান্তই বদলে দিল সবকিছু—

সার্ভার উন্নত হলো


গতি বাড়ল


নিরাপত্তা বাড়ল


বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা চালু হলো


ক্রিয়েটরদের উপার্জনের সুযোগ তৈরি হলো


তারপর থেকেই ইউটিউব আর পিছনে তাকায়নি।



YouTube


২০২৫ সালের ইউটিউব: সংখ্যায় বিশাল এক পৃথিবী

ইউটিউব এখন আর শুধু ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সংস্কৃতি—একটি ইকোসিস্টেম।
২০২৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে—

প্রতিদিন ভিডিও আপলোড হয়:

২ কোটি (২০ মিলিয়ন) নতুন ভিডিও

আরও একটি রিপোর্ট বলছে—
প্রতিদিন প্রায় ৭,২০,০০০ ঘণ্টা নতুন ভিডিও আপলোড হয়।

এর মানে দাঁড়ায়—
যদি তুমি ২৪ ঘণ্টা ধরে টানা ভিডিও দেখতে বসে যাও,
তাহলে ইউটিউবে একদিনে যে ভিডিও আপলোড হয়, তা দেখতে সময় লাগবে—

৩০,০০০ দিন,
অথবা


৮২ বছরেরও বেশি!


এত বিশাল পরিমাণ কনটেন্ট প্রতিদিন পৃথিবীকে নতুন করে সাজাচ্ছে।

প্রতিদিন ভিডিও দেখা হয়:

১ বিলিয়ন ঘণ্টা!

একজন ব্যবহারকারীর দৈনিক গড় ভিডিও দেখা:

৪৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ড

ইউটিউব এখন বিনোদন, শিক্ষা, খবর, রিভিউ, মিউজিক—সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু।

শুরুর দিনে কত ভিডিও আপলোড হতো?

ইউটিউব তখন খুব ছোট ছিল, তাই আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।
তবে প্রযুক্তি ইতিহাসবিদদের মতে—

প্রতিদিন কয়েকটা


কোনো দিন ১০–১৫টা


কিছুদিন ৩০–৪০টা


এর বেশি ভিডিও কখনোই উঠত না।

এই সংখ্যার তুলনায় আজকের ইউটিউব প্রায় অবিশ্বাস্য—
যেখানে প্রতিদিন লাখো মানুষ কনটেন্ট তৈরি করছে, লাখো ক্রিয়েটর ক্যারিয়ার গড়ছে।





দুই দশকের বড় শিক্ষা: ছোট শুরু মানেই ছোট ভবিষ্যৎ নয়

ইউটিউবের ২০ বছরের যাত্রা আমাদের একটি বড় শিক্ষা দেয়—
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিনিসগুলোরও শুরু হয় খুব ছোটভাবে।

যে প্ল্যাটফর্ম একসময় দিনে ৫০–৬০টি ভিডিও পেত,
আজ প্রতিদিন সেখানে যোগ হচ্ছে ২০ মিলিয়ন ভিডিও।
একসময় যেখানে দর্শক ছিল কয়েকশ,
আজ প্রতিদিন বিলিয়ন ঘণ্টা ভিডিও দেখা হয়।

এটি প্রমাণ করে—
কোনো সাফল্য হঠাৎ করে আসে না।
তার জন্য লাগে—

সঠিক পরিকল্পনা


সঠিক সময়


সঠিক সিদ্ধান্ত


ধারাবাহিক পরিশ্রম


আর অটল বিশ্বাস


একটি ছোট বীজও যত্ন পেলে একদিন বড় মহীরুহ হয়ে ওঠে।
ইউটিউবের গল্প ঠিক সেটাই।



YouTube


জীবনের জন্য অনুপ্রেরণার বার্তা

ইউটিউবের যাত্রা আমাদের জীবনের জন্য এক গভীর বার্তা দেয়—
হতাশা যাই থাকুক, শুরুটা যত ছোটই হোক,
যদি তুমি লেগে থাকো, তবে সাফল্য একদিন আসবেই।

স্টিভ চেন একসময় ভেবেছিলেন—
“সাইটে মাত্র ৫০টা ভিডিও, কী করবো?”

আজ সেই সাইটেই প্রতিদিন জমা হয় লাখ লাখ নতুন স্বপ্ন।

তাই জীবনে যখন হতাশা আসে, তখন মনে রাখবেন—
তোমার আজকের ছোট চেষ্টা,
আগামী দিনের বড় সাফল্যের ভিত।

পরিশ্রম করো, ফলের প্রত্যাশায় নয়,
নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে।
বাকিটা সময় ও ভাগ্য সমাধান করবে।


More article :



মহিলাদের বুকে কান পেতেই হৃদস্পন্দন শোনা। শালীনতা বজায় রাখতে জন্ম স্টেথোস্কোপের | Hearing a woman's heartbeat by placing her ear on her chest. The stethoscope was born to maintain modesty


নারীর স্বভাবের ১০টি ‘নিষিদ্ধ’ সত্য সমাজ যেগুলো শেখায়নিমা নবমনোবিজ্ঞানের আলোকে | 10 'Forbidden' Truths About Women's Nature What Society Hasn't Taught


Comments

Popular posts from this blog

A girl was having bangla golpo

  একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি হচ্ছিল সে কোনো ভাবেই |  A girl was having a lot of trouble in her married life English convert scroll 👇 Married life পরিবর্তনের শুরু নিজেকে বদলে দেওয়া থেকেই : তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না,মনের মধ্যে এতোটাই রাগ জন্মেছিল যে সে তার স্বামীকে খুন পর্যন্ত করতে চাইছে।  একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,আমি আর তার বাজে কথা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাকে খুন করতে চাই,কিন্তু আমি ভয়‌ পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে পারো মা..??” bangla golpo মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা..?? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।” মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:- ১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে খুব ভালোভাবে শান্তিতে কিছুদিন থাকতে হবে,যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে। ২. তার কাছে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া দেখাব...

Mandra was sitting bangla golpo

Mandra was sitting quietly in a corner of the hospital's black chair. She suddenly fainted ||হাসপাতালের কালো চেয়ারের এক কোণে চুপচাপ বসেছিল মন্দ্রা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বেশি কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই সে বাবাকে সামনের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে| খানিক আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারল বাবার মাথায় ক্লট জমেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে| এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, তার টিউশনের দু হাজার টাকাও পরিবারের কাছে অনেক| ষাট হাজার টাকা... অঙ্কটা তাদের মতো পরিবারের জন্য অনেক| দিন দুয়েকের মধ্যে তো দূর, বছরখানেকের মধ্যেও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ! রিসেপশন ডেস্কে বসা গোলাপি ইউনিফর্ম পরা মহিলার কাছ থেকে টাকার অঙ্কটা শোনার পরপরই মন্দ্রার মনে হল মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া বোধহয় একেই বলে| এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তার, তবে কি বাবা আর প্রাণে বাঁচবে না? মা কেমন ছিল ভাল করে মনেও নেই তার, অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে তাকে ফেলে পালিয়েছে| বাবাই খেয়ে না খেয়ে পক্ষী মাতার মতো বুকে আগলে রেখেছিল এতদিন| কিন্তু বাবাই যদি তারাদের দেশে চলে যায়, একলা কিভাবে বাঁচবে মন্দ্রা? কথাটা ...

Pride is terrible bangla golpo

  যার ভালোবাসা গভীর তার অভিমান ভয়ংকর | He whose love is deep his pride is terriblehoop English convert scroll 👇 মানুষকে কখনও একা কাঁদার সময় দিতে নেই জানেন! একবার কেউ একা কাঁদতে শিখে গেলে, তার আর কারও প্রয়োজন হয় না।  -আগে জানতাম না, তবে এখন জানি। মেয়েদের অভিমান ভালোবাসার চেয়েও ভয়ংকর।  -আংশিক ভুল জানেন আপনি।  -সঠিকটা তবে জানিয়ে দিন।  -যার ভালোবাসা যত গভীর, তার অভিমান তত ভয়ংকর।  -আপনি বলছেন যখন, মেনে নিলাম।  -আপনার ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না জ্যোতিষ্ক?  -করে তো! কিন্তু জীবনের সাময়িক উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে এমন কিছু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেছে, যা আমি চাইলেও ফেরাতে পারব না। আপনার গল্প বলুন ম্যাডাম। যাঁরা ভালোবাসতে জানেন, তাঁদের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনতে ভালো লাগে।  -আমি আর কী বলব? যখন মন ভুল পথনির্দেশ দেয়, তখন সঠিক পথে হাঁটার জন্য নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হয়। আমিও গেছি, এখন একরকম ভালোই আছি।  -সত্যিই ভালো আছেন? কতটা ভালো আছেন? জানতে ইচ্ছে করে।  -ঠিক জানি না। কী পেয়েছি, কতটা হারিয়েছি, সেই হিসেব রাখি না। আজকাল নিজের ভালো থাকার চেয়েও, অন্যের ভাল...